০২:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

মোজাম্মেল ও তার সনদ ! যা বললেন মুক্তিযোদ্ধারা

নিউজ আপডেট
নিউজ আপডেট

মোজাম্মেলের সনদ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ২, ৩ ও ৯নং সেক্টরের প্রায় ৫০ জন সম্মুখযোদ্ধার সঙ্গে কথা হয় যুগান্তরের। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, সাবেক এমপি হাসান উদ্দিন সরকার, যার গেজেট নং (৫৯৩)। ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ গাজীপুরের জয়দেবপুরে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ যোদ্ধাদের অন্যতম এই হাসান সরকার। মোজাম্মেল হকের হঠাৎ মুক্তিযোদ্ধা হয়ে ওঠা নিয়ে ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, সাবেক এমপি হাসান উদ্দিন সরকার।

তিনি যুগান্তরকে বলেন, মোজাম্মেল হক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। এটা নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই। বরং বলতে পারেন তাহলে তিনি মুক্তিযোদ্ধা হলেন কীভাবে? ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করতে তাকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিয়েছিল। তিনি (আ ক ম মোজাম্মেল হক) মুক্তিযুদ্ধের তালিকায় নিজে নাম ঢুকিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন। সংসদে এ নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। সেখানে মোজাম্মেল হক মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষী হিসাবে আমার নাম উল্লেখ করেছেন। আমি দ্বিধাহীন ভাষায় বলছি, মোজাম্মেল হক কোথাও যুদ্ধ করেননি এবং তিনি মুক্তিযোদ্ধা নন।

মোজাম্মেল হক মুক্তিযোদ্ধা হলে দেশের এক কোটি মানুষকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিতে হবে-এমন মন্তব্য করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ জবি উল্লাহ (গেজেট ১০৭ নং)। তিনি বলেন, ১৯৮৬ সালের লাল মুক্তিবার্তায় মোজাম্মেল হকের নাম নেই। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে গেজেট করে সেখানে তাকে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে দিল। এটা জালিয়াতি। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করে ভুয়াদের বাতিলের দাবি জানাই।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ১২:৫২:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৩৭

মোজাম্মেল ও তার সনদ ! যা বললেন মুক্তিযোদ্ধারা

আপডেট: ১২:৫২:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মোজাম্মেলের সনদ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ২, ৩ ও ৯নং সেক্টরের প্রায় ৫০ জন সম্মুখযোদ্ধার সঙ্গে কথা হয় যুগান্তরের। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, সাবেক এমপি হাসান উদ্দিন সরকার, যার গেজেট নং (৫৯৩)। ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ গাজীপুরের জয়দেবপুরে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ যোদ্ধাদের অন্যতম এই হাসান সরকার। মোজাম্মেল হকের হঠাৎ মুক্তিযোদ্ধা হয়ে ওঠা নিয়ে ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, সাবেক এমপি হাসান উদ্দিন সরকার।

তিনি যুগান্তরকে বলেন, মোজাম্মেল হক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। এটা নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই। বরং বলতে পারেন তাহলে তিনি মুক্তিযোদ্ধা হলেন কীভাবে? ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করতে তাকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিয়েছিল। তিনি (আ ক ম মোজাম্মেল হক) মুক্তিযুদ্ধের তালিকায় নিজে নাম ঢুকিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন। সংসদে এ নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। সেখানে মোজাম্মেল হক মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষী হিসাবে আমার নাম উল্লেখ করেছেন। আমি দ্বিধাহীন ভাষায় বলছি, মোজাম্মেল হক কোথাও যুদ্ধ করেননি এবং তিনি মুক্তিযোদ্ধা নন।

মোজাম্মেল হক মুক্তিযোদ্ধা হলে দেশের এক কোটি মানুষকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিতে হবে-এমন মন্তব্য করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ জবি উল্লাহ (গেজেট ১০৭ নং)। তিনি বলেন, ১৯৮৬ সালের লাল মুক্তিবার্তায় মোজাম্মেল হকের নাম নেই। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে গেজেট করে সেখানে তাকে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে দিল। এটা জালিয়াতি। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করে ভুয়াদের বাতিলের দাবি জানাই।